Mdmonirsheikh

 বাংলাদেশে সফর মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে


আইয়ামে বীজের রোজা: ৩০, ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর


আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট, ২০২৩) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে সফর মাসের নতুন চাঁদ দেখা গিয়েছে। ১৪৪৫ হিজরির সফর মাসের দিন গণনা শুরু হবে আগামীকাল ১৮ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার থেকে।


১৪৪৫ হিজরির সফর মাসের আইয়ামে বীজের নফল রোজা রাখতে হবে যথাক্রমেঃ ৩০, ৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর রোজ বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার।


অন্যান্য মাসের মত সফর মাসকে কেন্দ্র করেও মুসলিম সমাজে কিছু ভুল ধারনা, কুসংস্কার ও বিদআত প্রচলিত রয়েছে। অনেকে সফর মাসকে বালা মুসিবত ও অশুভ মাস মনে করে থাকেন। এটি সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী একটি ভুল ধারনা। ইসলামে কোনো অশুভ দিন বা মাস বলে কিছু নাই।


সফর মাসের সবচেয়ে বহুল প্রচলিত ভুল ধারনা ও বিদআতের চর্চা হচ্ছে "আখেরী চাহার সোম্বা"। সফর মাসের শেষ বুধবারে এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। আখেরী চাহার সোম্বা ও সফর মাসের প্রচলিত ভুল ধারনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এখান থেকে:


https://muslimsday.com/আখেরী-চাহার-সোম্বা-বিদআত


এ দিবস সম্পর্কে কথিত আছে:


"এই দিনে নাকি নবীজি (সা) অসুস্থ্যতা থেকে একটু সুস্থ্য হয়েছিলেন এবং গোসল করেছিলেন। এই দিনের গোসলই নবীজির (সা) জীবনের শেষ গোসল ছিল। নবীজির (সা) খানিকটা রোগমুক্তির কারণে শুকরিয়া স্বরূপ সাহাবীগণ (রা) নাকি শত শত উট ও হাজার হাজার দিনার দান সাদকা করেছিলেন।..."


দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উপরের আমল ও দাবীগুলো সঠিক নয়। উক্ত ঘটনার সমর্থনে কোনো গ্রহনযোগ্য হাদীস পাওয়া যায় না। এ দিবসকে কেন্দ্র করে অনেকে বিশেষ নামাজ ও বিশেষ ইবাদত বন্দেগী করেন। যার কোনো ভিত্তি ইসলামী শরীয়তে নাই। এটি একটি নব-আবিষ্কৃত বিষয়।


যেই দিবসের কোনো গ্রহনযোগ্য ভিত্তিই নাই, সে দিবসকে আমাদের অনেকটা জাতীয় ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি থাকে। বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ ওয়াজ ও "মিলাদ" মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। পত্রিকাগুলো এ দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে থাকে।


আল্লাহ আমাদেরকে প্রচলিত ভুল ও বিদআতের চর্চা থেকে মুক্ত রাখুন। আমীন।


This content is copied from Muslims Day Android App

Download Link: https://play.google.com/store/apps/details?id


=theoaktroop.appoframadan

Comments

Popular Posts

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُوۡنُوۡا قَوّٰمِیۡنَ لِلّٰہِ شُہَدَآءَ بِالۡقِسۡطِ ۫ وَ لَا یَجۡرِمَنَّکُمۡ شَنَاٰنُ قَوۡمٍ عَلٰۤی اَلَّا تَعۡدِلُوۡا ؕ اِعۡدِلُوۡا ۟ ہُوَ اَقۡرَبُ لِلتَّقۡوٰی ۫ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۸﴾ হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে (হকের উপর) দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত (এবং) ন্যায়পরায়ণতার সাথে সাক্ষ্যদাতা হও।[১] কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনও সুবিচার না করাতে প্ররোচিত না করে।[২] সুবিচার কর, এটা আত্মসংযমের নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন। [১] প্রথম অংশের ব্যাখ্যা সূরা নিসার ৪:১৩৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী (সাঃ)-এর নিকট ন্যায্য সাক্ষীর কত বড় গুরুত্ব ছিল, তা এই ঘটনার দ্বারা অনুমান করা যায়। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, নু'মান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন, আমার পিতা আমাকে কিছু হাদিয়া (দান) দিলেন, তা দেখে আমার মাতা বললেন, 'এই হাদিয়া বা দানের উপর যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আল্লাহর রসূল (সাঃ)-কে সাক্ষী না রাখবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট হব না।' সুতরাং আমার পিতা রসূলে কারীম (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে, (ঘটনা বর্ণনা করলেন।) তখন রসূল (সাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন; "তুমি তোমার সমস্ত সন্তানদেরকে অনুরূপভাবে হাদিয়া বা উপঢৌকন দিয়েছ কি?" প্রতি উত্তরে (আমার আব্বা) বললেন, 'না।' অতঃপর রসূল (সাঃ) বললেন, "আল্লাহকে ভয় কর এবং সন্তানদের মাঝে সমদৃষ্টিসম্পন্ন সুবিচার কর।" তিনি আরো বললেন, "আমি যুলুমের (অন্যায়ের) সাক্ষী হতে পারব না।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম / কিতাবুল হিবা বা দানপত্র নামক অধ্যায়) [২] এ অংশের ব্যাখ্যা সূরা মায়িদার ৫:২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।